জাহিদুল ইসলাম ;
জেলা প্রতিনিধি, (নীলফামারী)
ডিমলা উপজেলা বিশেষ প্রতিনিধি;
নীলফামারীর ডিমলায় সঠিক সীমানা নির্ধারন(জমি সংক্রান্ত জটিলতার নিরসন) না করেই কৃষি জমি ও বসতভিটা গুড়িয়ে দিয়ে অবৈধভাবে বুড়ি তিস্তা নদী খনন কাজে বাধা প্রদান করেন এলাকাবাসী। গত (১৭ ডিসেম্বর) ২০২২ ডিমলা সদর ইউনিয়নের কুঠিরডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী জলাঢাকা ও ডোমার উপজেলার ভুতকুড়া নামক স্থানে (পাউবো) নিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাকিস্থান আমল হতে জমির বৈধ কাগজপত্রসহ বাপ-দাদার পৈত্রিক সুত্র ধরে বসবাসরত পরিবার গুলিকে কোন প্রকার নোটিশ কিংবা অবগত না করেই নদী খননের কাজ শুরু করতে গেলে এলাকার বসবাসরত মানুষজন কাফনের কাপড় পরে নিজ জমি রক্ষায় কাজ বন্ধের জন্য প্রতিবাদ জানায়।
এ সময় কে বা কাহারা ঠিকাদারের অস্থায়ী শেডে থাকা একটি মোটরসাইকেল ও একটি মাটিকাটার ভেকু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনা শুনে ডিমলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ডিমলা থানা পুলিশ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষমহয়।
এ বিষয়ে জলঢাকা পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (শাখা কর্মকর্তা) মোঃ একরামুল হক বাদী হয়ে ৭৯ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৪/৫শ জনের নামে ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৮, তারিখ-২০ ডিসেম্বর ২০২২ইং। উক্ত মামলায় এজাহার নামীয় ২৪ জন আসামী বর্তমানে নীলফামারী জেল হাজতে রয়েছেন। মামলার কারনে কুঠিরডাঙ্গা গ্রামটি পুরুষ শুন্য হয়ে পরে। পুরুষ শুন্য পরিবারের সদস্যরা খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের দাবি বৈধ কাগজপত্র থাকা শর্তেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোনপ্রকার কাগজপত্র না দেখেই ১৯০০ একর জমির মিথ্যা দাবি করছে। পাশাপাশি আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা বিষয়টি দেখার জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, আমরা পাকিস্থান আমল থেকে আমাদের নামে রেকর্ডকৃত ১২৬০ একর জমিতে বসবাসসহ চাষাবাদ করে জীবন জিবিকা নির্বাহ করে আসছি। এখানে ডিমলা জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় প্রায় ৪০ হাজার জনসংখ্যা রয়েছে। আমাদের কোনো নোটিশ ছাড়াই পাউবো’র ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে খনন কাজ শুরু করা হয়। কাজটি চলমান থাকলে আমরা জীবন জিবিকা নির্বাহের জন্য চাষাবাদসহ পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা গোজার ঠাঁই পাব না। এখনো জমি জটিলতা নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একটি এবং নীলফামারী বিজ্ঞ আদালতে তিনটি মামলা চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে জলঢাকা পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (শাখা কর্মকর্তা) মোঃ একরামুল হক এর মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন ও ডোমার-ডিমলা সার্কেলের এএসপি আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে এবং কাজ স্থগিত রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply